যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ‘রিসেট’ বা নতুন করে স্থাপন করতে চায় রাশিয়া। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ঘোষণার পর এই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রভাবশালী প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ।

তিনি বলেন, প্রচারণার সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সিনেটে ট্রাম্পের দল জিতেছে। মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের সম্পর্ক ১৯৬২ সালের মিসাইল সংকটের পর তলানিতে নেমে গেছে।

রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান নির্বাহী কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছেন, বিভিন্ন প্রচারণা সত্ত্বেও ট্রাম্প টিম প্রেসিডেন্সি এবং সিনেটে জয় পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বিজয় প্রমাণ করেছে যে বাইডেন প্রশাসনের বিদ্বেষ, অযোগ্যতা এবং নজিরবিহীন মিথ্যাচারে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। দিমিত্রিয়েভ মনে করেন, এখন মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সুযোগ এসেছে।

নির্বাচনের আগেও ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এখন তার এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গোল্ডম্যান স্যাচের সাবেক এই ব্যাংকারের সাথে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, রিপাবলিকান শিবিরের অর্জিত বিজয়ের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, আমেরিকানরা নজিরবিহীন মিথ্যাচার, অদক্ষতা ও বাইডেন প্রশাসনের বিদ্বেষে ক্লান্ত।

দিমিত্রিয়েভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে ডোনাল্ড ট্রাম্প হারিয়েছেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর পরপরই ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাষণে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন তিনি। এই বিজয়কে হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।

এর আগে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মস্কোর সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব সত্ত্বেও  সেই সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সম্পর্কে আরও অবনিত ঘটে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি বলছে, নির্বাচনে জয়ের জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৭০টির প্রয়োজন হলেও ডোনাল্ড এখন পর্যন্ত ২৬৭টি ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ভোট।